বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর খলিফারা কে কোথায়?
- আযাদ আলাউদ্দীন বরিশাল ব্যুরো
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৩
এক সময়ের প্রবল প্রভাবশালী বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিশ্বস্ত অনুচর, যারা বরিশালে সাদিকের খলিফা হিসেবেও পরিচিত, সেই নেতারা ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বরিশাল ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। লোকমুখে শোনা যায় তাদের নেতা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
৫ আগস্টের পর ৮ আগস্ট প্রথম বুড়িমাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় বিজিবির হাতে আটক হন সাদিকের ক্যাশিয়ার খ্যাত মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। যদিও বিজিবির সাথে দুই দিন দেন-দরবারের পর অবশেষে ভারতে চলে যান তিনি। সেই থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
সাদিক সমর্থক একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আগস্টের শেষ দিকে সীমান্তের ফাঁকফোকর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সাদিক আবদুল্লাহ, তার সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ এবং শিশুপুত্র আরশান আবদুল্লাহ। ওই সময় সাদিকের সাথে ভারতে পাড়ি জমাতে সক্ষম হন সাদিকের বিশ^স্ত খলিফা বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ মান্না। সেই থেকে তিনি ভারতে সাদিকের সাথেই অবস্থান করছেন।
৫ আগস্ট দুপুরে সাদিকের বাসা থেকে পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন সাদিকের আর এক খলিফা ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল্লাহ মুনিম। পরে গভীর রাতে নিজের বন্ধু এক সাংবাদিকের সহায়তায় বরিশাল নগরী ত্যাগ করে সদর উপজেলার কোনো একটি গ্রামে লুকিয়ে আছেন তিনি। আবার কেউ বলছেন, বান্দরবান এলাকায় আছেন এক সময়ের দাপুটে এই ছাত্রলীগের নেতা। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাদিকের পাশে দা হাতে ছবি ভাইরাল হয় সাদিকের আরেক সহচর ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের। ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে কেউ তাকে দেখেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, বরিশালের অদূরবর্তী টুঙ্গীপাড়ার কোনো একটি গ্রামে পলাতক অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কখনো নিজের পরিবার মিস করার ছবি, আবার কখনো অন্তর্বর্তী সরকারের ও ছাত্র সমাজের সমালোচনা করে নিজের ভিডিও আপলোড করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জানান দিচ্ছেন বিসিসির সাবেক কাউন্সিলর ও সাদিক আবদুল্লাহর আরেক খলিফা রাজিব হোসেন খান। ৫ আগস্টের পর রাজিব বরিশাল ত্যাগ করেন। বর্তমানে রাজধানীর কোনো একটি এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন তিনি।
বলাবাহুল্য এই ৫ খলিফার প্রত্যেকের নামেই রয়েছে একাধিক মামলা। তবুও তাদের গ্রেফতারে সক্রিয় কোনো ভূমিকা নেই পুলিশের।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মামলার এজহারভুক্ত সব আসামিকে ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।