০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`
ওয়াকাথনে বক্তারা

তামাকজনিত রোগে ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়

-

তামাক ব্যবহারজনিত রোগের কারণে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর হলে এই স্বাস্থ্য ব্যয় কমে আসবে। এ জন্য উচ্চ কর আরোপ এবং কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ কঠোর করতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের অভ্যন্তরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, কিশোরদের আকৃষ্ট বন্ধে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ও বিনোদন মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ বন্ধ করা জরুরি।
গতকাল সকাল ৮টায় জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে সুস্থ থাকতে ধূমপান না করে নিয়মিত হাঁটার আহ্বান জানিয়ে এক ওয়াকাথনে শুরুতে বক্তরা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি ও মানস-মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা যৌথভাবে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন রোগ এবং মৃত্যু কমায়’ শীর্ষক এ ওয়াকাথানের আয়োজন করে।
কর্মসূচিটি জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনা পার্কের অন্তাচল গেট (জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স সংলগ্ন) এ গিয়ে শেষ হয়। এই কর্মসূচিতে গেণ্ডারিয়া হাইস্কুলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ওয়াকাথানের উদ্বোধন করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী। ওয়াকাথান কর্মসূচির উদ্বোধনী অংশ পরিচালনা করেন মানস এর প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাত। এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন গেণ্ডারিয়া হাইস্কুলের ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষক সাথী আক্তার ও স্কাউট প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে মৃত্যুর হার বাড়ছে। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন কে আরো শক্তিশালী করতে হবে। একইসাথে স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে বেশি বেশি হাঁটার পাশাপাশি শাকসবজিও গ্রহণ করতে হবে।
সরকারকে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ এর বাস্তবায়ন, এমআরপিতে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করা। তারা আরো বলেন, তামাক কোম্পানি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে বিনোদন প্রোগ্রাম নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েবসিরিজে জনপ্রিয় অভিনেতাদের মাধ্যমে তামাকের প্রচারণা চালাচ্ছে।
তাদের লক্ষ্য সুস্থ-সবল জাতি গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা। আইন ভঙ্গ করা বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী অংশে বক্তব্য রাখেন- প্রত্যশা মাদকবিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ, নীতি বিশ্লেষকে সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বিএনটিটিপির সচিবালয় ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, সিটিএফকে এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমাইরা সুলতানা।
কর্মসূচিরসহ আয়োজক হিসেবে এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), ডেভেলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস, গ্রামবাংলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সংস্থা-নাটাব, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল