৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

তুরাব হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দস্তগীর বরখাস্ত

-

মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত ছিলেন এমন দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সুপারের মধ্যে একজন হলেন- হাসিনা বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ১৯ জুলাই দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরোচিফ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সাদেক কাউসার দস্তগীর (গ্রেফতারকৃত)। তিনি এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার শেরপুরে কর্মরত ছিলেন।
সাদেক কাউসার দস্তগীরকে নিয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- শেরপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উত্তরের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দন্তগীরের বিরুদ্ধে সিলেট কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের রয়েছে এবং গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।

দন্তগীরকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত হিসেবে ধরা হবে।
১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। উজ্জলের পরদিন (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শেরপুর থেকে সাদেক কাউসার দস্তগীরকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরদিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে সিলেট আদালতে তোলা হয়। আদালতে নেয়ার পর তুরাব হত্যা মামলায় সাদেক কাউসার দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। বর্তমানে এই দু’জন কারাগারে আছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গতঃ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। এ সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ জাবুর।

 


আরো সংবাদ



premium cement