মুখচ্ছবি নয়, ফিঙ্গার প্রিন্টে এনআইডি চান পর্দানশিনরা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১১
মুখচ্ছবি নয়, ফিঙ্গার প্রিন্টের ভিত্তিতে পর্দানশিন নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের দাবি জানিয়েছেন মহিলা আনজুমানের সদস্যরা। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) দেয়া স্মারকলিপিতে বলছেন, ১৬ বছর ধরে পর্দানশিন নারীদের এনআইডি বঞ্চিত করে মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মুখচ্ছবি ছাড়া এনআইডি দিয়ে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে মহিলা আনজুমান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে গতকাল পর্দানশিন নারীদের এনআইডি বঞ্চিত করে মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মহিলা আনজুমান। সেই সাথে সিইসিকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন, সদস্যসচিব সুমাইয়া আহমাদ মুনা, সদস্য মাশহুরাহ ফিরদাউসি প্রমুখ। তারা সিইসি বরাবর তিনটি দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দেন। দাবিগুলো হলোÑ বিগত ১৬ বছর ধরে পর্দানশিন নারীদের মানবাধিকার হরণ করা ইসি কর্মকর্তাদের বিচার, পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও গোপনীয়তার অধিকার অক্ষুণœ রেখেই এনআইডি প্রদান এবং তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ায় নারী অফিস সহকারী বাধ্যতামূলক করা হোক। আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই। গত ১৬ বছর ধরে ইসির কিছু স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের এনআইডি বা নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে, যা এক প্রকার মানবতাবিরোধী অপরাধ। এতে পর্দানশিন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে নিদারুণ কষ্ট করছেন। যে বা যারা গত ১৬ বছর ধরে পর্দানশিন নারীদের মানবাধিকার হরণ করেছে, আমরা তাদের বিচার চাই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাঠে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দু’টি গুনাহ হয়। একটি ছবি তোলার গুনাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুনাহ। আমরা পর্দানশিন নারীরা সেই গুনাহ থেকে বাঁচতে চাই। ইসি কর্মকর্তারা আমাদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে সে গুনাহ করতে বাধ্য করতে পারে না।