১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

জুনে ব্রাজিলে প্রথমবারের মতো মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস : নয়া দিগন্ত -


আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার এবং ল্যাটিন আমেরিকায়, বিশেষ করে ব্রাজিলে, নেটওয়ার্কিং সহজতর করার লক্ষ্যে, ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) এই উদ্যোগ নিয়েছে।

রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে একটি হোটেলে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: সাইফুল আলম এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো: জয়নাল আবদিন। ব্রুনাই রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস বিন ওসমান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো: বশির আহমেদ, ঢাকার ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি, কৃষি অ্যাটাশে মি. সিলভিও লুইজ রদ্রিগেজ টেস্টাসেক্কা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো গভীর করার অপরিসীম সম্ভাবনার ওপর জোর প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ ব্যবসাকে তাদের উৎকর্ষতা প্রদর্শন এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ।

রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস জানান, আমি নিশ্চিত যে, এই অনুষ্ঠান পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে। ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গরু ও পোলট্রি গোশত উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অনেক মুসলিমপ্রধান দেশেই ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই অনুমতি নেই। ওই অনুমতি পাওয়ার জন্যই ব্রাজিল চেষ্টা করছিল বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
মো: সাইফুল আলম বলেন, এই এক্সপো বিবিসিসিআইয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন পথ খোলার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের রফতানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ এবং তাদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী উন্নীত করার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যদি পোশাক শিল্পের একজন নেতা, পাটজাত পণ্যের, অথবা ওষুধ শিল্পের একজন অগ্রদূত হন, এই ইভেন্টটি আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আপনার প্রবেশদ্বার।

তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশী রফতানিকারকদের কাছে এই এক্সপো নতুন বাজারে প্রবেশ এবং ব্যবসাকে বিশ্বমঞ্চে উন্নীত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমরা ব্যবসায়ীদের এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন এবং অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জন্য, ব্রাজিলের ব্যবসার সাথে জোট গড়ে তোলার এবং সয়াবিন, চিনি এবং শিল্প যন্ত্রপাতির মতো উচ্চমানের পণ্য অন্বেষণ করার এটি সুযোগ। বাংলাদেশ থেকে এক থেকে দেড় শ’ জন ব্যবসায়ী প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারির, ২০২৫ পর্যন্ত আগাম নিবন্ধন খোলা থাকবে আকর্ষণীয় ছাড়ের সাথে। আমরা ব্যবসায়ীদের সাও পাওলোতে আমাদের সাথে যোগ দেয়ার এই সুযোগটি হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি।
মো: জয়নাল আবদিন এক্সপোকে সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ হিসেবে বর্ণনা করেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার হওয়ায়, তাৎপর্যপূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনস্বীকার্য। এই এক্সপো ব্রাজিলের টেকসই লক্ষ্যের সাথে বাংলাদেশের পাট এবং বাংলাদেশের শিল্পায়নকে সমর্থনকারী ব্রাজিলীয় শিল্প সরঞ্জামের মতো সমন্বয় অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement