আর্মি স্টেডিয়ামে রাহাত ফতেহ আলীর সুরের মূর্ছনা

পাকিস্তানি শিল্পী রাহাত ফতেহ আলীর সুরে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। গতকাল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে দর্শকদের সুরের মূর্র্ছনায় দর্শকদের বিমোহিত করেন বিখ্যাত এই শিল্পী। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ব্যান্ড সিলসিলার কাওয়ালি গানের মাধ্যমে কনসার্ট শুরু হয়।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তায় এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজন থেকে পাওয়া সব অর্থ শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দেয়া হবে।
যৌথভাবে এ কনসার্টের আয়োজন করেছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্ল্যাটফর্ম ও স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড। কনসার্টে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এতে সঙ্গীত ছাড়াও ছিল জুলাই বিপ্লব-সংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক, মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ বিভিন্ন কর্নার।
শুরুতে ছিল বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনা। এতে দেশী ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ ও সিলসিলার সদস্যরা গান পরিবেশন করেন। এর বাইরে ছিল জনপ্রিয় র্যাপ সঙ্গীতশিল্পী সেজান ও হান্নানের পরিবেশনা। এরপর মঞ্চে ওঠেন রাহাত ফতেহ আলী খান। একে একে তিনি তার জনপ্রিয় গান ‘জরুরি থা’, ‘ও রে পিয়া’, ‘জগ সুনা সুনা লাগে’, ‘তেরে বিন’, ‘তেরি ওর’, ‘ম্যায় যাঁহা রাহুঁ’, ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো ন্যায়ন’, ‘তুম জো আয়ে জিন্দেগি মে’, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ ইত্যাদি পরিবেশন করেন। এ সময় গোটা স্টেডিয়াম দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এ বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী। কাওয়ালি ও গজলের পাশাপাশি বলিউড সিনেমায় প্লেব্যাকের জন্য জনপ্রিয় রাহাত ফতেহ আলী খান।
কনসার্টে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাহাঙ্গীর গেট এবং জিয়া কলোনির গেট বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খুলে দেয়। এ সময় গেট দিয়ে শুধু রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়ি, বিদেশগামী যাত্রী এবং জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত ছিল।
এ ছাড়া যানজটে জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে টোল ফ্রি করে দেয়। বেলা ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বনানী, আর্মি গলফ ক্লাব, এয়ারপোর্ট, কুড়িল বিশ্বরোডের চারটি প্রবেশপথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন টোল ফ্রিতে যাতায়াতকারীরা প্রবেশ করেন। এ ছাড়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে স্টাফ রোড রেলগেট থেকে নেভি হেড কোয়ার্টার্স পর্যন্ত উত্তরা থেকে মহাখালী অভিমুখী রাস্তাটি বন্ধ ছিল।