১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পবিপ্রবিতে ছাত্রদলের ব্যানারে শোডাউন প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন

-

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও ছাত্রদলের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যানার-পোস্টারিং এবং কেন্দ্রীয় কমিটির একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়া এ বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর পবিপ্রবিতে ‘ছাত্রছাত্রীদের আকাক্সক্ষা, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির কাঠামো এবং শিক্ষার পরিবেশ’ নিয়ে আলোচনা করতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসেন। এই মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম দিপু, যুগ্মসম্পাদক আসাদুজ্জামান রিকু ও তারেক হাসান মামুন উপস্থিত ছিলেন। এ দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেন। পরে এসব প্রোগ্রামের ছবি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়।
এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ, টিএসসি, আবাসিক হলের দেয়াল এবং বিভিন্ন স্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর পবিপ্রবি ক্যাম্পাস সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে প্রায় অর্ধশত দাবি তুলে ধরেন। যার মধ্যে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ছিল অন্যতম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পবিপ্রবি প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, পবিপ্রবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে কি না এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছে, তারা নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি শুরু করার বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা এই বিষয়টা ক্লিয়ার করেছি, কোনো রাজনৈতিক সরকার এসে নির্দেশনা দিলে সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধই থাকবে।
ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে আমার অনুপস্থিতিতে কিছু কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত হয়েছি। দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে সবাইকে পুনরায় সতর্ক করা হবে। সরকারি নির্দেশনা আছে, কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেয়া যাবে না। এরপরও যদি কেউ ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে চায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এক মাসের মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তকাজ শেষ করার নির্দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৪ বছরের কম হওয়া উচিত অস্ট্রিয়ার কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি প্লানটেশন সেক্টরে একাধিক শর্তে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত মির্জা ফখরুল ৫ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ য্ক্তুরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেও সংখ্যায় সর্বোচ্চ রেকর্ড উচ্চ রাজনৈতিক ঝুঁকি ও নিম্ন প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় ঋণ মান কমিয়েছে মুডিস আ’লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য : ডা: শফিক বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান শহীদদের নামে হবে : তারেক রহমান

সকল