২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দিন দিন বাড়ছে

প্রতিরোধে চাই সচেনতা
-

বাংলাদেশে ডায়াবেটিস বাড়ছে উচ্চ হারে। বিশেষ করে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। গর্ভকালীন মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভের শিশুর নানা জটিলতায়তো ভুগবেই, একই সাথে বড় হয়ে এই শিশুর ডায়াবেটিস হতে পারে। ‘ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মা সন্তান ধারণ করতে চাইলে ছয় মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিন এবং অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন’ বলে জানিয়েছেন অ্যান্ডোক্রাইনোলজির (হরমোন) বিশেষজ্ঞরা। গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশ (এসেডবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস বিষয়ে এসব কথা বলেছেন। আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিস ও সুস্থতা’। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসেডবির অধ্যাপক ডা: এমডি ফরিদ উদ্দিন। ‘ডায়াবেটিসের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট : বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক’ বিষয়ক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসেডবির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা: ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ, বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিসের চিকিৎসার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন অধ্যাপক ডা: এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ডায়াবেটিসের অপচিকিৎসা বিষয়ে কথা বলেন অধ্যাপক ডা: মীর মশাররফ হোসেন, ‘ডায়াবেটিস সুচিকিৎসার অন্তরায়’ বিষয়ক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা: রুহুল আমিন ও ডাক্তার যুবায়দা নাজনীন। সংবাদ সম্মেলনটির সঞ্চালনা করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের ডা: এম এ হালিম খান সহযোগী। ডেল্টা ফার্মা এসেডবিকে এ বিষয়ক নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে।

অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে তা বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি ওষুধ দিয়ে কমিয়ে রাখতে হবে। দক্ষ ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করা উচিৎ নয়। কারণ একজন ডিগ্রিধারী ডাক্তারই জানেন কোন ওষুধ কী পরিমাণ রোগীর জন্য প্রযোজ্য। বাজারে বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এসব ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। কারণ এসব ওষুধ পরীক্ষিত নয়। এতে শরীরের নানা অঙ্গ যেমন হৃদযন্ত্র, কিডনি ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে। তিনি বলেন, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের আইসির ৫০ শতাংশ রোগীই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকার পরামর্শ দেন তিনি। ডায়াবেটিস হলে ব্যায়াম করা বা হাঁটার চেয়ে আগেই শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করতে হবে। অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই, বাংলাদেশেই সব ধরনের চিকিৎসা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement