ক্যামব্রিয়ান বিএসবি গ্লোবালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষায় বিদেশ গমনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার বিভিন্ন প্রমাণসহ তথ্য তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতারিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ককে বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাবদ বিভিন্ন সময়ে আমরা টাকা দিয়েছি। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ওই প্রতিষ্ঠান কৌশলে বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি জমা দেয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে; কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফি জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে ও পরবর্তী সময়ে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা ও সময় ক্ষেপণ করে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে অনেক দেনদরবার করার পর যে চেক দেয়া হয় তা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
তারা আরো বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ন্যায্য বিচার না পাওয়ায় আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে বিএসবি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ ছাড়াও তারা পাওনাদারদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের প্রতিনিধিদলের সাথে এই মর্মে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা তিন কিস্তিতে (যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর) সবাইকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয় ও গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে গুলশান থানা অবগত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষার্থী আবু নাঈম, শিহাবুল ইললাম শিহাব, মেনশন মারমা, মারিয়া আক্তার, নাইমা আক্তার, অভিভাবক নাসির হোসেন প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা