২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ডা: ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিএনপির মিছিলে ৪ জনকে গুলি করে হত্যা
-

২০০১ সালে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে বিএনপির মিছিলে চারজনকে গুলি করে হত্যার মামলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর আদালত থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি ডা: এইচ বি এম ইকবাল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত-৮ এ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি বিচার চলবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

বুধবার বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো: সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মামলার বাদি তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধার আবেদনে রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: আমিনুল ইসলাম।
২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হরতালের বিপক্ষে ডা: ইকবালের নেতৃত্বে একটি মিছিল এবং হরতালের পক্ষে বিএনপির একটি মিছিল মালিবাগ মোড়ে মুখোমুখি হয়। এ সময় মিছিল থেকে গুলি করা হলে বিএনপির চার কর্মী নিহত হন। তারা হলেন, জসিমউদ্দিন, খোকন, আব্দুর রশিদ মোল্লা ও নাজমা আক্তার। পরদিন প্রায় প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় সন্ত্রাসী দুলাল ও খোরশেদ আলম মিছিলের ভেতর থেকে পিস্তল দিয়ে সিনেমা স্টাইলে গুলি করছেন এমন ছবি ছাপা হয়। এ ঘটনায় ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডা: এইচ বি এম ইকবালসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এ দিকে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। সে অনুসারে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ১৫ জন আসামিকে অব্যাহতি দেন। আর বাকিদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন অব্যাহতি দিয়েছেন তার পক্ষে কোনো বিস্তারিত মতামত দেননি বিচারক। এ কারণে পটপরিবর্তনের পর মামলার বাদি ইউনুস মৃধা হাইকোর্টে ২০১০ সালের দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। আর ১৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। এ ছাড়া মামলাটিতে এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।


আরো সংবাদ



premium cement