৭ নভেম্বর ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার : ডা: জাহিদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জে এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বিগত সরকার ৭ নভেম্বর বইয়ের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জনগণের মন থেকে মুছে দিতে পারেনি। কারণ তাদের ভালোবাসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আগামী ৮ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সাথে যৌথ সভা করেন ডা: জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার আন্দোলন ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো। বন্দী অবস্থায় তাকে সারা দেশের সিপাহি-জনতা মুক্ত করেছে। তার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যাদের স্বাধীনতার ডাক দেয়ার কথা ছিল তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছিলেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণে জনস্রোত নেমেছিল। ’৭৫-এর মতো আবারো ৮ নভেম্বরের র্যালিকে জনস্রোতে পরিণত করব।
ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে দায়িত্ব পালন না করতে পারে সে জন্য ষড়যন্ত্রকারীর থেমে নেই। তারা লুষ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নামে-বেনামে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
ডা: জাহিদ জানান, নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হবে। ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলার নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরী তাদের মতো করে র্যালি করবে। এ ছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে আছে ৬ নভেম্বর (বুধবার) আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার (কবর) জিয়ারত।
যৌথ সভায় বলা হয়, র্যালিতে পোস্টার ও ব্যানারে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বাইরে কারো ছবি ব্যবহার করা যাবে না, সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে র্যালিতে অংশ নিতে হবে। জাসাসের আয়োজনে ব্যান্ড পার্টির বাইরে কোনো ঢোল, হাতি বা ঘোড়ার ব্যবহার না করতেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়।