চট্টগ্রামে লাইটারেজ জাহাজের সিরিয়াল প্রথা উদ্বোধন
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০
দেশের অন্যান্য পরিবহন সেক্টরের মতোই নৌপরিবহন সেক্টরকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল করার জন্যই সিরিয়াল পদ্ধতিতে লাইটারেজ জাহাজগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করতে পারে। এতে আমদানি রফতানি ও ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক ও নিরাপদ থাকবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা পাবে।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) অফিস মিলনায়তনে বার্থিং মিটিং কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার বিডব্লিউটিটিসি সেলের কনভেনর সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সুপারভাইজার মোহাম্মদ মনজুরুল কবির, সেল কর্মকর্তা সফিক আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবিরসহ অন্যান্যরা।
নতুন সিরিয়াল পদ্ধতির কার্যক্রমে ইতোমধ্যে ২৮০টি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানানো হয় সভায়। গত ১৫ অক্টোবর প্রণীত এ নীতিমালায় লাইটার জাহাজের সিরিয়ালভুক্তি, বরাদ্দ ও জাহাজের ভাড়া নির্ধারণের একক দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলকে (বিডব্লিউটিসিসি)। নতুন নীতিমালা অনুসারে, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের সুপারভাইজরি কমিটি এ সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। নীতিমালার শর্তানুযায়ী বিডব্লিউটিসিসির বরাদ্দ ছাড়া কোনো লাইটার জাহাজ বাংলাদেশের কোনো সমুদ্রবন্দরে আসা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। তবে যেসব ফ্যাক্টরি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লাইটার জাহাজ রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান নৌপরিবহন অধিদফতরের অব্যাহতিপত্র পাওয়া সাপেক্ষে নিজস্ব জাহাজে পণ্য পরিবহন করতে পারবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা