১ দিন পর যুবকের লাশ মিলল ফ্লাইওভারে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সোহেল মিয়া নিজের প্রাইভেটকার মেরামত করাতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসা থেকে উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় এলাকায় এসএসও অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে যান। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। স্বামীর খ্ােজ না পাওয়ায় গতকাল বিকেল ৪টার দিকে স্ত্রী শারমিন নিজেই সোহেলকে ওয়ার্কশপে খুঁজতে যান। কিন্তু ওয়ার্কশপ মালিক নাসিরুজ্জামান রুবেল শারমিনকে বলেন, সোহেলের শরীর খারাপ ছিল। একটা ডাব খাইয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই। এরপর থেকে আর সোহেলের খোঁজ পাননি শারমিন। রাতেই থানায় জিডি করেন তিনি। গতকাল ভোরে ধোলাইরপাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে সোহেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
নিহত সোহেলের স্ত্রী শারমিন বলেন, স্বামীর কোনো সন্ধান না পেয়ে রাত ১১টার দিকে সবুজবাগ থানায় জিডি করি। রাতে আমরা কয়েকজন মিলে আবার ওই ওয়ার্কশপে যাই। সেখানে কয়েক জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, কোনো বিষয় নিয়ে ওয়ার্কশপ মালিক ও কর্মচারীরা মিলে সোহেলকে হত্যা করে লাশ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে রেখে আসে। ওই সময় সোহেলের প্রাইভেটকারটি ওয়ার্কশপেই ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোহেলের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার আকনকান্দি গ্রামে। সোহেলের বাবা মরহুম মোকলেছুর রহমান। বাসাবো কদমতলায় স্ত্রী শারমিন সুলতানা এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। নিজের প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতেন।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মোহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, ভোরে খবর পেয়ে ধোলাইরপাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান সড়ক থেকে সোহেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্কশপের কিছু জায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখেছেন সোহেলের স্ত্রী। তিনি ওয়ার্কশপের মালিক ও কর্মচারীকে সন্দেহ করছেন। সোহেলের মাথায় ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এসআই আমির হোসেন বলেন, যেহেতু সবুজবাগ থানায় জিডি হয়েছে, সেহেতু মামলা ও তদন্ত সবুজবাগ থানার পুলিশ করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা