শেকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনার তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাব, তদন্ত স্থবির
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও জমা হয়নি তদন্ত রিপোর্ট। অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে এ যাবৎ তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত হলেন- মো: অলিউল আলম টুয়েল। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- মো: ইলিয়াছুর রহমান, মো: ইব্রাহীম খলিল খান, গৌতম চন্দ্র রায়, মো: হুমায়ুন কবিরসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা। ছাত্রজীবনে তারা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছেন। বর্তমানে ক্ষমতার পালাবদলে বিষয়টি আবারো নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে তদন্তসম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তকাজে বাইরের কেউ বাধা সৃষ্টি বা সুপারিশ করেছে বলে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মূল অভিযুক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: অলিউল আলম টুয়েল বলেন, তিনি (আবদুল মান্নান) আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছেন তা সত্য নয়। তার কক্ষে তার সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এর বেশি কিছু হয়নি। সিনিয়র শিক্ষকদের মাধ্যমে আমরা নিজেরাই ঘটনাটির মীমাংসা করতে চেয়েছিলাম। আর তদন্তকাজে বাধা সৃষ্টি করার মতো কোনো কিছু আমরা কখনো করিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা