২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

-

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সুলতান (৪০) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় আসামি সোহরাব (৫৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত সুলতান নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মরহুম আফসার আলীর ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া - খলিশা পাড়া) বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক। গত ২৩ তারিখ রাতের দিকে বোয়ালমারী গ্রামস্থ ফকিরপাড়া মোড়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এই মারামারির ঘটনায় সুলতানের ছেলে পলাশ বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশাপাড়া-গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৫/৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ও একনম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ারপাড়া- খলিশাপাড়া) বিএনপি’র যুগ্মসম্পাদক সুলতান গুরুতরভাবে আহত হয়। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যালের রেফার করেন।
এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদি হয়ে পাঁচজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি গচিয়ারপাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে আটক করতে সক্ষম হয়।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রাজশাহী মেডিক্যালে ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় সুলতান মারা যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় সোহরাব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement