স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর সায়েন্সল্যাব অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে দাবি বাস্তবায়নে আগামী শনিবার পর্যন্ত আলটিমেটাম বেঁধে দিয়ে সড়ক ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবির বাস্তবায়নে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘোষণা না এলে আগামী শনিবার থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান তারা।
বিক্ষোভ শেষে গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রহমান। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজে একে একে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে দুপুর ১২টায় সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। বিক্ষোভকালীন ওই রুটে যানচলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাকা কলেজের সামনে এসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দাবিতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত স্মারকলিপি আমরা প্রদান করেছি; কিন্তু কোনো ধরনের সমাধান আমরা পাইনি। একটি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে গত ২১ আগস্ট আমরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে রাস্তা আটকিয়ে রেখেছিলাম। এই সাত কলেজ যদি সুষ্ঠু সমাধান পায়, ঢাকা শহর সুষ্ঠু থাকবে। কঠোর কর্মসূচির পর এক দিনে সমাধান পাইনি, আবার আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করলাম। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রিন সিগন্যাল পাইনি। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠু সমাধান না হচ্ছে, একজন শিক্ষার্থীও চুপ থাকবে না। সবমিলিয়ে ঢাকার সাত কলেজে ক্যাম্পাস মিলিয়ে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ঘোষণা দিলেই শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরবে।
আলটিমেটামের ঘোষণা দিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত আমরা সময় দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার নতুন করে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণসংযোগ শেষে শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি শনিবার বিকেলের মধ্যে কোনো ঘোষণা না আসে, ওই দিনই একটি সংবাদ সম্মেলনে ডেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং সেই কর্মসূচি হবে আরো কঠোর থেকে কঠোরতর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা