৩২ ঘণ্টা পর জলকামানের মুখে মহাসড়ক ছেড়েছেন শ্রমিকরা
- আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ বেশ কিছু দাবিতে ৩২ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন শ্রমিকরা। পরে জল কামানের মুখে ১ মিনিটের মাথায় মহাসড়ক ছেড়ে দেন তারা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে পুলিশের জলকামানের মুখে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছেড়ে যায় শ্রমিকরা। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে সোমবার সকাল ১০টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
এ দিকে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সরে যেতে ও দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তারা মহাসড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় জলকামান ব্যবহার করলে এক মিনিটে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শ্রমিকরা। তবে মহাসড়কে আটকে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে তারা। কিন্তু কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রিয়াদ হোসেন নামে এক ট্রাকচালক বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি ও ইট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অনুরোধ করা হলেও তারা কথা শোনেনি।
শ্রমিকরা জানান, প্রায় তিন মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষ একাধিকবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কথামতো কাজ করেনি তারা। এ ছাড়া কারখানার স্টাফদেরও বেতন দেয় না কর্তৃপক্ষ। অন্তত ৪-৫ মাসের বকেয়া বেতন পাবেন স্টাফরা। তাই বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশ জলকামান দিয়ে পানি ছুড়লে সড়ক ছেড়ে যান শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সারোয়ার আলম জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৫টার দিকে জলকামান ব্যবহার করে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা