২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

হত্যামামলায় আ’লীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

-


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পৃথক হত্যামামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তারা হলেন, হাফিজুর রহমান সুমন হত্যামামলার আসামি ও শেরে বাংলা নগর থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহে আলম (৬৫) এবং মো: ইমন হোসেন আকাশ হত্যামামলায় পল্লবীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আশিকুল ইসলাম শান্ত। গত শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেরে বাংলা নগর মহিলা কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। পেশায় চালক হাফিজুর রহমান সুমন সেই আন্দোলনে যোগ দেন। আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিরীহ ছাত্র জনতার ওপর দেশীয় অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। সে সময় শান্তিপূর্ণ মিছিলে থাকা হাফিজুর রহমান সুমন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী মোছাঃ বিথি খাতুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়।

থানা সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মাহে আলমকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরো জানান, পল্লবী থানা যুবলীগ নেতা গ্রেফতার আশিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। গত ৪ আগস্ট বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ বাস স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সড়কে আরো অনেক ছাত্র-জনতার সাথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল ইমন। এ সময় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে ইমন গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় ডা: আজমল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইমনের মা বেবী বাদি হয়ে গত ২৭ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
থানা সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ইমন হত্যামামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশিকুল ইসলাম শান্তকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ইমন হত্যামামলায় গত ৩ অক্টোবর পল্লবী থানা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং গত ৫ অক্টোবর পল্লবী থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: আকবর হোসেন জনিকে গ্রেফতার করেছিল পল্লবী থানা পুলিশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement