পূজা কমিটির নেতার অনুরোধেই গান করেন শিল্পীরা : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের অনুরোধে গান পরিবেশন করেছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করার কথাও জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো: রইছ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘পূজামণ্ডপে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ পূজামণ্ডপে সন্ধ্যার পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। পূজামণ্ডপ কমিটিরই একজন সদস্য সজল দত্ত, যিনি পূজামণ্ডপ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। তার অনুরোধে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কিছু সদস্য দু’টি গান পরিবেশন করে। এর একটি গানের শব্দচয়ন উপস্থিত ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে প্রতীয়মান হয়।’
তিনি বলেন, এ ঘটনাটি নজরে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়। গান পরিবেশন করা দু’জনকে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এ দু’জন হলেন, শহিদুল ইসলাম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহিদুল ও নুরুল করিম শিক্ষকতার সাথে জড়িত।

উপকমিশনার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আটক ব্যক্তিদের সাথে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মো: রইছ উদ্দিন বলেন, যারা তাদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেছিল, তাদের সাথেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সজল দত্ত, যার নাম ওঠে এসেছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে সপ্তমীর দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সজল দত্তের আহ্বানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠেন। ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শীর্ষক দু’টি গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য শহীদুল করিম (৪২), মো: নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮) ও গোলাম মোস্তফা (২৭) ও মো: মামুন (৩৬)। এর মধ্যে দ্বিতীয় গানটির শেষের অংশ ভিডিও আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।