সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪
- নিজম্ব প্রতিবেদক
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীতে পৃথক অভিযানে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেনÑ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: আজিজুল হক, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, পল্লবী থানা যুবলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো: ওবায়দুল ইসলাম রানা।
গতকাল শুক্রবার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, রাজধানীর বনশ্রী এলাকার মুদির দোকানের কর্মচারী মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর মো: আজিজুল হক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো: ওবায়দুল ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজ আদায় করে বেলা ৩টায় দোকান খোলার জন্য বাসা থেকে বের হন মিজানুর রহমান। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গোলাগুলি চলছিল। ওই আন্দোলনে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কামাল হোসেন মোল্লা গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রবিন উত্তরা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর বিভিন্নভাবে হামলা ও দমনে নৃসংশ ভূমিকা পালন করেন। তার বিরুদ্ধে উত্তরা-পশ্চিম থানায় সাতটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এ দিকে ছাত্র আন্দোলনে ইমন হোসেন আকাশ হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওয়াসিম পল্লবী থানা যুবলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত ইমনের মা বাদি হয়ে ২৭ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সড়কে আরো অনেক ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে অংশ নেয় ইমন। এ সময় ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে ইমন গুরুতর আহত হয়। আহত ইমনকে তার মা আরো লোকজনের সাহায্যে ডা: আজমল হাসপাতাল লিমিটেডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলাটি তদন্তের সময় গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ওয়াসিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।