২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৭৯তম জন্মদিন আজ

-


বর্ষীয়ান রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৭৯তম জন্মদিন আজ (১ অক্টোবর)। তিনি ১৯৪৬ সালের এ দিনে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নিজের জন্মদিনে এক প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দুঃশাসনে বিপর্যস্ত দেশকে রক্ষার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি, অনেক নির্যাতিত হয়েছি। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মাঝে আমি অসুস্থ ছিলাম, আল্লাহ আমাকে সুস্থ করেছেন। রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার এই পরিবর্তন দেখার সুযোগ দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা ও হোমনা উপজেলাবাসী, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীসহ প্রিয় দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আগামী দিনগুলোতে যেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারি।
ড. মোশাররফ কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে মেট্রিকুলেশন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে আইএসসি পাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ১৯৬৮ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগে জুনিয়র প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং একই বছর কলম্বো-প্লান স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার (পিএইচডি) জন্য বিলেত (লন্ডন) যান। সেখানে তিনি ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি, ১৯৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা এবং ১৯৭৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

এরপর ১৯৭৫ সালে দেশে ফিরে পুনরায় ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭৯ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. মোশাররফ ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী, ১৯৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
খন্দকার মোশাররফ ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এজিএস এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির জন্য খন্দকার মোশাররফ ১৯৭১ সালে বিলাত প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন।
ড. মোশাররফ ‘প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ পদ্ধতি’র উদ্ভাবক। মৎস্য ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণপদক লাভ করেন। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং বিশ্বব্যাপী তামাকবিরোধী আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ড. মোশাররফকে ‘World no tobacco award-2004’ পদকে ভূষিত করেন। ভূতত্ত্ব বিষয়ে স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসে তার মৌলিক উদ্ভাবন ‘Hossains method of extension’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর তিন মাস পার হলেই সব ঋণ খেলাপি মিয়ানমারের জেনারেল মিন অংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইলেন আইসিসির প্রসিকিউটর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া কিছু মানুষ জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন : ফখরুল আইনজীবীর হত্যাকারী ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ শুভ কান্তি দাস কে? এশিয়া ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পেল অধিকার চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ

সকল