আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা
- আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি সরকার ও মালিকপক্ষ মেনে নেয়ার ঘোষণার পর গত দুই দিন সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশির ভাগ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে বেতন পরিশোধ করতে না পারাসহ অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এখনো ১৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবারও শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যেই আশুলিয়ার অধিকাংশ তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণার পর বুধবার এ অঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেয়া হয়। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত বন্ধ থাকা অর্ধশতাধিক কারখানার অধিকাংশেই কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে ১৯টি কারখানায় বুধবার উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ১৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল এবং পাঁচটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। অবশ্য গতকাল সকাল থেকে ডিইপিজেড নতুন ও পুরনো জোনসহ শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। যদিও বকেয়া বেতনসহ আরো কিছু সমস্যার কারণে এ দিনও ১৭টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গতকাল বলেন, সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানাতেই উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ৯টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া আরো আটটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন কারণে এসব কারখানা বন্ধ রয়েছে। যেমন এদের কেউ বেতন পরিশোধ করতে পারছে না, কারো অর্ডার নেই, আবার শ্রমিক আন্দোলন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া আটটি কারখানার পাঁচটিতেই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হওয়া ৯টির মধ্যে দু’টি নন আরএমজি ফ্যাক্টরি। আর বাকিগুলোর মধ্যে দু’টি শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা