চকরিয়া টানা ভারী বর্ষণে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী
- রফিক আহমদ, চকরিয়া (কক্সবাজার)
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন দিনের টানা প্রবল বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে মাতামুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে চকরিয়া পৌর এলাকা ও পেকুয়ার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।
বানের পানির স্রোতে ভেঙে গেছে ২০টির মতো বসতবাড়ি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
শনিবার সকালেও ভারী বর্ষণ ও জড়ো হওয়া অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়া, বাঁশঘাটা এলাকায় মাতামুহুরি নদীর পাশে পৌর শহর রক্ষা বাধে পাশে পানির স্রোতে ভেঙে গেছে ১২টি পরিবারের বসত বাড়ি। আরো ৪০টি পরিবারকে গভীর রাতে চকরিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানি ঢুকে পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে ও জড়ো হাওয়ায় চকরিয়া উপজেলার বমু, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, ফাঁসিয়াখালি, হারবাং, বরইতলী, বিএমচর ইউনিয়নে অনেক বসত-বাড়ি ও আমন ধানের ক্ষেতের ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এসব ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, তার ইউনিয়নের মানিকপুর এলাকায় নিম্নাঞ্চলের প্রায় দুই শতাধিক বসতবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবারেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।