কর্ণফুলিতে তীব্র স্রোত : চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
- রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২৪
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলি নদীতে তীব্র স্রোতে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার উভয় দিকে কর্ণফুলি নদীর উপর নৌপথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত দুটি ফেরি স্রোতের কারণে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
এই ফেরি চলাচল বন্ধের ফলে রাঙ্গামাটি-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েন এই রুটে চলাচলকারী শত শত যাত্রী।
তাদের বিকল্প হিসেবে ইঞ্জিনচালিত বোটে পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া অতি প্রয়োজনীয় গাড়িগুলো চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন সেতু ব্যবহার করে চলাচল করছে।
ফেরির চালক, কর্মচারী এবং বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে ছাড়া থাকা ছাড়াও কর্ণফুলী নদীতে যখন জোয়ার আসে তখন ফেরিতে উঠার সিঁড়িতে অতিরিক্ত পানি উঠে গেলে দিনের কয়েক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
ফেরির কর্মচারী মো: শাহজাহান আজ সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদককে জানান, সকালে কয়েকবার ফেরি চলাচল করতে পারলেও দুপুর ১২টার দিকে কর্ণফুলি নদীতে জোয়ার এসে ফেরির গ্যাংওয়েতে প্রচুর পানি এসেছে। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে, ফলে কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় আমরা ফেরি চলাচল করতে পারছি না। কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের পানির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দুই ফুট করে খুলে দেয়ায় প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা