নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর নিঝুমদ্বীপের লুবনার ঘরটি পুনর্নিমার্ণের প্রস্তাব
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪৬
‘নিঝুমদ্বীপের লুবনার ঘরটি এখনো রেমালে ধ্বংস স্তুপের মধ্যে’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তে ২৮ জুন খবর প্রকাশের পর আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এগিয়ে আসে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে লুবনার বিধ্বস্ত ঘরটি করে দেয়ার জন্য যোগাযোগ করে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধ্বংসলীলার একমাস অতিবাহিত হলেও এর ধ্বংসস্তুপে এখনো চাপা পড়ে আছে লুবনার বসতঘরটি। ভেঙেপড়া বিধ্বস্ত ঘরটি গাছের সাথে রেক্সিন মুড়িয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন লুবনা বেগম।
বর্ষায় কালো মেঘের ঘনঘটায় ঝড়বৃষ্টিতে ভাঙা বিধ্বস্ত ঘরে এক অমানবিক বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্বামী ও পাঁচ সন্তানের জন্য খোলা আকাশের নিচে ঝড়বৃষ্টিতে চুলায় আগুনে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও রান্নাবান্না করে কোনোরকমে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। এমন অমানবিকতার পরস্থিতির শিকার নিঝুমদ্বীপের লুবনা বেগমের বিধ্বস্ত ধংসস্তুপের নিচে পড়ে থাকা ঘরটি করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠন।
আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের চেয়ারম্যান আশেক সুলতান মোবাইলে জানান, আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজের অবহেলিতদের পাশে সামাজিক সংগঠনগুলো দুস্থ মানুষদের কল্যাণে এগিয়ে এলে সমাজ থেকে দারিদ্র্যতা দূর করা অনেকাংশে সম্ভব।
তারা জানান ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় নিঝুমদ্বীপের লুবনা বেগমের ঘরের খবরটি দেখে আমরা ঘরটি করে দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে গৃহহীনদের মাঝে চারটি ঘর নির্মাণ, তিনটি স্বাবলম্বী প্রজেক্টসহ সর্বমোট ৭৫টি মানবিক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই ধরনের মানবিক কার্যক্রমের আওতায় আমরা অসহায় লুবনা বেগমের কষ্ট দূর করার উদ্দেশে অতি দ্রুত ঘরটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: আজমির হোসেন জানান, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে আমরা বিভিন্ন পেশাজীবী যুবসমাজ একত্রিত হয়ে সমাজের গৃহহীন ও কর্মহীন পরিবার, বিধবা, নিঃস্ব, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা, গরীব দুঃখী, ছিন্নমূল, অসহায় মানুষ এবং দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা