০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযান

উখিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাইফেলসহ আরসার কমান্ডার গ্রেফতার 

উখিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাইফেলসহ আরসার কমান্ডার গ্রেফতার  - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫)। অভিযানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত একটি জি-৩ রাইফেল এবং পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) গান গ্রুপ কমান্ডার মো: জাকারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পায় যে উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কতিপয় সদস্য অস্থিরতা ও নাশকতার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র নিয়ে এসেছে। এ সূত্র ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে আরসা ‘সন্ত্রাসী’ মো: জাকারিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জাকারিয়া ১০ নম্বর ক্যাম্পের এফ ১৭ ব্লকের বাসিন্দা মরহুম আলী জোহরের ছেলে। তার দেয়া তথ্য মতে, একটি ঘর থেকে একটি জি-৩ রাইফেল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার রাইফেলটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীসহ দেশটির বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার করে থাকে বলে ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জাকারিয়া জানান যে তিনি ২০১৭ সালে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-১০ এ পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন। তার সাথে আরসার শীর্ষ কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠলে সে আরসায় যোগ দেন। বাংলাদেশে প্রবেশের প্রথম দিকে সে আরসার সোর্স এবং পরবর্তীতে গান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন। এরপর ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ এর ব্লক-এফ/১৭ এর ব্লক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পান। এ সময় তার নেতৃত্বে আরসার অন্য সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্য পরিচালনা হতো।

ব্রিফিংয়ে র‌্যাব অধিনায়ক জানান, ২০২২ সালে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় আরসা ‘সন্ত্রাসীদের’ হামলায় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করলে সে পালিয়ে পুনরায় মিয়ানমারে চলে যান। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং গান গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন কিলিং মিশন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অস্ত্র চালনায় দক্ষ হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত বিভিন্ন নাশকতা, মারামারি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করতেন বলে জানান।

গ্রেফতার জাকারিয়ার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও দু’বার কারাভোগ করেন বলেও জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা খাদ্যগুদাম তৈরিতে পরামর্শক খরচই ২৯০ কোটি টাকা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল সফটওয়ার শিল্পে কর্মসংস্থান ও বিদেশী মুদ্রা হারানোর শঙ্কা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন : সালাহউদ্দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ৬ ব্যাংকের এমডিকে ভয়ঙ্কর রূপে তালিকাভুক্ত ৯৭৯ ছিনতাইকারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিশ্বমানের উদ্যোগ আরামকোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়নি : সৌদি রাষ্ট্রদূত

সকল