চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে ১২ হাজার মানুষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ মে ২০২৪, ২১:২৭
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ১২ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে যাওয়ার পর মহাবিপদ সঙ্কেত কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয়ের জন্য খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্মরত হাসিবুল হাসান।
তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২ হাজার ছয়জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার ১১৭ জন পুরুষ, পাঁচ হাজার ৫৪ জন নারী, এক হাজার ৮২২ জন শিশু এবং ১৩ জন প্রতিবন্ধী। এছাড়া গবাদি পশু ছিল ৬৯৬টি।
তিনি আরো বলেন, তবে এখন রেমালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এছাড়া চট্টগ্রামে সতর্ক সঙ্কেত কমিয়ে আনা হয়েছে। তাই দুপুরের পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরছে। তবে কতজন মানুষ এ মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই।
সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা