হাতিয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১৪ মে ২০২৪, ১৫:২৯, আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১৫:৩৬
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নে ফারজানা আকতার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ফারজানার বাবা নিজাম উদ্দিনের অভিযোগ এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারলো না।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড নবীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফারজানা চরকিং ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের বাবা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে হরনী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবীপুর গ্রামের চৌধুরী মিস্ত্রির ছেলে বাবলুর সাথে ফারজানার বিবাহ হয়। বিবাহের সময় বর পক্ষের দাবি অনুযায়ী ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং এক লাখ টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু কনে পক্ষ এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা দেয়।
নিহতের বাবা জানান, বাকি এক ভরি স্বর্ণের জন্য প্রতিনিয়ত ফারজানাকে মৌখিক ও শারিরীক নির্যাতন করতেন স্বামী বাবলু। নানা উছিলায় স্বামী বাবলুর মা-বাবা ও বোন মিলে ফারজানাকে শারিরীক নির্যাতন করত।
তিনি আরো জানান, পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের বিষয়াদি নিয়ে নবীপুর গ্রামের মনির নামের এক ব্যক্তি তিন মাস আগেও ফারজানার স্বামী-শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদকে নিয়ে শালিশ করেন।
ফারজানার বাবা আরো জানান, গত রোববার বাবলু স্ত্রী ফারজানাকে আগের মতো মারধর করে সন্ধীপ উপজেলায় তার স্ক্র্যাপ ব্যবসার কর্মস্থলে চলে যান। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদ কর্তৃক ফারজানা কয়েকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশের এক মহিলার মাধ্যমে ফারজানার মৃত্যুর খবর বাবা নিজাম উদ্দিন পেলে তা স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং পুলিশকে অবহিত করে।
খবর পেয়ে বয়ারচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ফারজানার শ্বশুরালয়ের ঘরের পাশের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ফারজানার লাশ উদ্ধার করে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো: জয়নাল আবেদীন জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ফাঁস দেয়া অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।’
পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।