মিয়ানমারের গোলার শব্দ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে টেকনাফ সীমান্তে
- হুমায়ুন কবির জুশশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ১৪ মে ২০২৪, ১৩:০৩, আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১৩:১২
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারি গোলার বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ। এতে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে। গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সীমান্তে গোলার শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং আজ মঙ্গলবার ভোররাতে থেমে থেমে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তে মিয়ানমারের ওপার থেকে মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়। এতে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
সীমান্তের কাছাকাছি টেকনাফের পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, তিন দিন রাখাইন রাজ্য থেকে গোলার শব্দ পাওয়া যায়নি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে ও মঙ্গলবার ভোররাতে ওপার থেকে আবারো গোলার বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে। এতে বিশেষ করে নারী-শিশুদের নিয়ে ভয়ে রয়েছে সীমান্তের মানুষ। তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সীমান্তের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, সীমান্তে বসবাসকারীদের মাধ্যমে ওপারে গোলার বিকট শব্দ বিষয়ে অবহিত হয়েছি। সীমান্তে ভারি গোলার বিকট শব্দ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরণের গোলার বিকট আওয়াজ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
সীমান্তের লোকজন জানায়, টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকাগুলোতে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার ভোররাতে মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সীমান্তের সাবরাংয়ের বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ভোররাতে নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে মিয়ানমারের গোলাগুলির বিকট শব্দে মনে হয় মাটি খুঁড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিন-রাত নাফ নদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনে সঙ্ঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। পাশাপাশি ওপারের চলমান সঙ্ঘাতের জেরে নতুন করে রোহিঙ্গা যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।