কুমিল্লায় যুবক খুনের দায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড
- কুমিল্লা প্রতিনিধি
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০২
কুমিল্লার হোমনায় বোনের সাথে প্রেম করায় ফয়সল (২২) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এর দায়ে ভাই মো: শামীম মিয়া ও মামাতো ভাই দুলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।
সোমবার (১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো: ফুল মিঞার ছেলে মো: শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো: বেদন মিয়ার ছেলে মো: দুলাল মিয়া (২০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডে শিকার ফয়সলের সাথে আসামি মো: শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তারের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় তার মোবাইলফোনে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীম চলে যায়। বাড়িতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে নিহতের বাবা মো: মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে আসামি মো: শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
শামীম জানায়, প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে। লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানার রাজনগর গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার মো: শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো: শামীম মিয়া ও মো: দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি মো: শামীম মিয়া ও মো: দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো: শামীম মিয়া ও মো: দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তী কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো: নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা