অপহরণের ৪ দিন পর যুবদল নেতার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার
- সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৪, আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৪৭
সীতাকুন্ডে অপহরণের চার দিন পর যুবদল নেতার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৩টার সময় দিকে উপজেলার বশতনগর সমুদ্র উপকূল থেকে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবদল নেতার নাম মো. জামশেদ (৩২)। তিনি মুরাদপুর ইউপির হাসনাবাদ এলাকার নুরুজ্জামানের দ্বিতীয় ছেলে এবং হাসনাবাদ ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার হাসনাবাদ এলাকায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলের স্থানীয় সদস্যরা। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদল সাথে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
নিহত জামশেদের স্ত্রী বলেন, ওই দিন অনুষ্ঠান শেষে একদল সন্ত্রাসী সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় আমার স্বামীকে দেলীপাড়া রাস্তার মাথা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আমি সীতাকুন্ড মডেল থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি।
তারপর পুলিশ এজহার নামীয় মো. জুয়েল সাইফুল্লাহকে আটক করে। জামশেদের শ্যালক জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনার চার দিন পরও তার সন্ধান না পেয়ে তার উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আজ শনিবার দুপুর ১টায় সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে পুলিশ জানায়, উপজেলার বশত নগর সমুদ্র উপকূলে একটি লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে তিনি তার লাশটি শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. হারুন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পাই। বস্তার মুখ খুলে লাশটি বের করা হলে তার শ্যালক জয়নাল লাশটি তার ভগ্নিপতির লাশ বলে শনাক্ত করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে খুনিরা তাকে হত্যা করে বস্তাবন্ধী অবস্থায় সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর বলেন, আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অত্যান্ত পরিকল্পিত ও ঠাণ্ডা মাথায় যুবদল নেতা জামশেদকে হত্যা করেছে। আমরা এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানাই।
থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা