হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৫, আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৪২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় ২০১২ সালের একটি হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের শুক্কুর আলী ওরফে ফালান হত্যা মামলায় এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নায়ায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের আমিরুদ্দিনের ছেলে আফজাল কৈয়া ও আফজালের স্ত্রী হেলেনা বেগম।
মামলায় আফজালের বাবা আমিরুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া আমিরুদ্দিনের অপর দুই ছেলে মোঃ সুমন ও ওমর ফারুককে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রায় দেয়ার সময় আফজাল কৈয়া ও আমিরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হেলেনা বেগম আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার হালদ গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা আফজাল মিয়ার কাছ থেকে জায়গা কেনেন। পুরো টাকা নিয়েও জায়গা রেজিস্ট্রি না করে সময়ক্ষেপণ করছিলেন আফজাল। ২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর শুক্কুর আলীকে কৌশলে আফজালের শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় নিয়ে আসেন হেলেনা। পরে শুক্কুরকে স্থানীয় মরিচাকান্দি এলাকার মেঘনা নদীর কাছে নিয়ে প্রথমে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন হেলেনা। এরপর আফজাল এসে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে শুক্কুরের লাশ নদীতে ফেলে দেন।
পরদিন ৭ ডিসেম্বর নদী থেকে শুক্কুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মরিচাকান্দি এলাকার চৌকিদার শাহআলম বাদি হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী শরীফ হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমজাদ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।