২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ শাবান ১৪৪৬
`

চাঁদাবাজি বন্ধে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

চকরিয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কে আওয়ামী দোসরদের চাঁদাবাজি ও জনদুর্ভোগ বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয় শ্রমিকরা। ফলে বদরখালী ব্রীজের উভয় পাশে শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। এতে রোগীসহ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ব্রীজে ওপর ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় ।

সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় স্থানীয় ও শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে কিছু চিহ্নিত চাঁদবাজ এ সড়কের মহেশখালী চাল্যাতলি স্টেশনে দিবারাত্রি পণ্য ও যাত্রী বাহী গাড়ি জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। তাদের অত্যাচারে স্থানীয় শ্রমিক ও যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। তাদের এ অবৈধ চাঁদাবাজি ও মনগড়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিপূর্বে মানববন্ধনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সাময়িক বন্ধ থাকে। পরে সরকার পতনের পর পুনরায় এ সিন্ডিকেট দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করে।

চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা এ সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে আগত যাত্রীদের জিম্মি করে ব্রিজে নামিয়ে তাদের নির্ধারিত গাড়িতে করে মহেশখালী যেতে বাধ্য করে।

সম্প্রতি এক স্কুলছাত্রী ব্রীজের পাশে বখাটেদের হাতে ধর্ষণের শিকার হন। তাদের অবৈধ চাঁদা ও মনগড়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও স্হানীয় লোকজন এ সড়ক অবরোধ করে বলে জানা যায়।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জানা যায়, গত দু’মাস ধরে আওয়ামী লীগের কতিপয় দোসররা প্রভাব কাটিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকিয়ে অবৈধ চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিল। পরে স্থানীয় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটরা বদরখালী ব্রীজ পার হয়ে কোনো যানবাহন মহেশখালী প্রবেশ করতে দেয় না। যেতে গেলে ওই পাড়ের গাড়ি নিতে হবে।

মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, সড়ক অবরোধের খবর এখনো পাইনি। কেউ সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কয়েক শ’ পণ্যবাহি ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়ে আছে। কোনো পূর্বের ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় কয়েক হাজার যাত্রী চরম বেকায়দায় পড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement