সীতাকুণ্ডে হত্যার পর সমুদ্রে ফেলে দেয়া জেলের লাশ উদ্ধার
- সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে সমুদ্রে ফেলে দেয়ার পাঁচ দিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্র উপকূল থেকে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাম জলদাস (৩৩) বাড়বকুণ্ডের মাহমুদাবাদ জেলে পল্লির বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট ভাই লিটন জলদাসকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান রাম জলদাস। ওই সময় তাদের জালের খুব কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে নৌযানে ভর্তি করছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। নৌযানের প্রপেলারে তাদের একটি জাল পেঁচিয়ে গেলে তারা জালটি কাটতে চায়। ওই সময় প্রতিবাদ করেন রাম। পরে বালু তোলায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে রামকে মারধর করে সাগরের পানিতে ফেলে দেয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাম জলদাস। ঘটনার পাঁচ দিন পর আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তরে গুলিয়াখালী সমুদ্র এলাকায় রাম জলদাসের লাশ পাওয়া যায়।
কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে রাম জলদাসের লাশ ভেসে আসে। পরে ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় কাদামাটিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জেলেরা। এ সময় তারা নিহত ব্যক্তির স্বজনদের খবর দেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নৌ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাম জলদাসের লাশ উদ্ধার করেন।’
এদিকে রাম জলদাসকে সাগরে ফেলে দেয়ার পর তার ছোট ভাই লিটন জলদাসকেও অপহরণ করে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় নিয়ে যান বালু তোলায় জড়িত ব্যক্তিরা। পরে নৌ পুলিশের সদস্যরা লিটন জলদাসকে উদ্ধার করেন। পরে রাম জলদাসের স্ত্রী কণিকা জলদাস এ ঘটনায় হত্যা ও অপহরণের মামলা করেন। মামলায় নৌ পুলিশ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে।