রাঙ্গামাটির পাহাড়ে হলুদের বাম্পার ফলন
- রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪
রাঙ্গামাটির দূর্গম পাহাড়ে হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি বরকল নানিয়ারচর বিলাইছড়িসহ বিবিন্ন স্থানে স্থানীয় পাহাড়ি কৃষকরা পাহাড়ের ঢালে জুমের ধানের পাশাপাশি হলুদ চাষ করে এ ফলন পেয়েছে। পাহাড়ের জুমের মিশ্র ফসল চাষাবাদের মধ্যে হলুদের চাষ অন্যতম। এবার পাহাড়ে হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হলুদের উৎপাদন ভালো হয়েছে। মাঠে কৃষান-কৃষানিরা হলুদ ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন। ইতোমধ্যে কাঁচা হলুদ চাতালে সিদ্ধ করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন চাষিরা। স্থানীয় হাটবাজারেও হলুদ উঠতে শুরু করেছে। এবার হলুদ চাষে সফল হয়েছেন বলে জানান চাষিরা।
এছাড়া কম খরচে, ব্যাপক ফলন হওয়ায় লাভও বেশি। তাই কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে জুরাছড়িতে উৎপাদিত হলুদ। পাহাড়ে উৎপাদিত হলুদের বেশ চাহিদা থাকায় এই হলুদ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
তবে, অনুন্নত যোগাযোগ ও পরিবহন সঙ্কটের কারণে সঠিক সময়ে হলুদ বাজারজাত করতে পারছেন না ইউনিয়নের পাহাড়ি কৃষকরা।
জুরাছড়ির দূর্গম জনতাপাড়ার হলুদ চাষি সাবিনা ও ঊষা চাকমা জানান, ‘প্রতি বছর পাহাড়ে উৎপাদিত হাজার হাজার টন হলুদ যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা হলুদ সংগ্রহে আসছেন পাহাড়ের হাট বাজারগুলোতে। তাই কৃষকরা বেশি দামের আশায় পাহাড় থেকে সংগৃহীত হলুদ সিদ্ধ করে রৌদে শুকানোর পর বাজারে নিয়ে আসছেন। আর এসব হলুদের রঙ দেখে ঝুঁকে পড়ছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।’
জুরাছড়ি কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘হলুদ বহুল ব্যবহৃত একটি মসলাজাতীয় ফসল। তাই চাহিদার সাথে জনপ্রিয়তা বেশি। এছাড়া পাহাড়ে উৎপাদিত হলুদের অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। প্রায় সব ধরনের মাটিতে হলুদ চাষ করা যায়। তবে দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি হলুদ চাষের জন্য অতি উত্তম। তাই পাহাড়ে হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ডিমলা ও সিন্দুরী নামে হলুদের দু’টি উন্নত জাত রয়েছে। ডিমলা জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় তিন গুণ ফলন বেশি দেয়। আর পাহাড়ে সাধারণত ডিমলা জাতের হলুদ বেশি আবাদ হয়ে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা