২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেবিদ্বারে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবি স্থানীয়দের

- ছবি - নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষা ও অবৈধভাবে মাটি কেটে নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুরে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন, ফজলুল করিম, সুলতান আহমেদ সরকার, রুহুল আমিন, মুর্শেদা বেগম, জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম সাকিল, আবু মুসা প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘মাটি ব্যবসায়ী হেলাল গোমতী নদীর বাঁধ ঘেঁষে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বাঁধটি ধ্বসে যেতে পারে। তার আত্মীয়-স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চরের মাটি লুট করেছে। আমরা এ বছর গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধির ভয়াবহতা দেখেছি। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে নদীর দু’পাশের লাখো মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। তারপরও পাশের উপজেলায় বাঁধ ভেঙে আমাদের বন্যায় ভাসতে হয়েছে। নদীর চর থেকে যদি এভাবে মাটি কাটে, তাহলে এ বিপদ কখনোই কাটবে না। এছাড়া হেলাল মাদক কারবার করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে এবং গোমতী নদীর চর ও বাঁধ রক্ষায় হেলালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।’

স্থানীয় মুর্শেদা বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ি বেড়িবাঁধের উত্তর পাশে। গোমতী চরে আমাদের জমি আছে। এ জমিতে বছরের পর বছর ধরে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে খলিলপুর গ্রামের মাদককারবারি হেলাল আহমেদ। এ বছরও দিন-রাতে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার ফলে আমাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে। আমি মাটি কাটা বন্ধে প্রতিবাদ করায় হেলাল ও তার স্ত্রী আমাকে পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। অমি এর বিচার চাই।’

অভিযুক্ত হেলাল আহমেদ বলেন, ‘এ বছর মাটি কাটার সুযোগ নাই। জায়গা ঠিক করার জন্য কয়েক গাড়ি মাটি কেটেছিলাম।’

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রায়হানুল ইসলাম জানান, ‘গোমতী নদী থেকে মাটি কাটার সংবাদে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। তবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


আরো সংবাদ



premium cement