২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘দলীয় কারণে সন্তানকে হত্যা করতেও আ’লীগের বিবেকে বাধে না’

- সংগৃহীত

দলীয় কারণে নিজের সন্তানকে হত্যা করতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিবেকে বাধে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে দলের প্রয়োজনে নিজের পরিবারের লোকজনকেও ক্ষতি করতে চিন্তা করে না। এদের কাছে ভাই-বোন, মামা-ভাগিনা, আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে দলীয় অসৎ স্বার্থ বড়। দলীয় কারণে নিজের সন্তানকেও হত্যা করতে তাদের বিবেকে বাঁধে না। তার নিকৃষ্ট উদাহরণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিয়া। তার আত্মীয়-স্বজনরা যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, সে সবাইকে মামলা দিয়ে নানা হয়রানি করেছে। আজ তিনি কোথায়?’

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ১৯ নম্বর দক্ষিণ বকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ বকলিয়ার নয়া মসজিদ এলাকায় আয়োজিত আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন ১৯ নম্বর দক্ষিণ বকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম ও বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা মঈনুদ্দিন পারভেজ।

এতে সভাপতিত্ব করেন ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজি নবাব খান।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে যারা ভোট ডাকাতি করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন সবাই এখন লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। কারণ তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকেই অন্যায়, অত্যাচার ও বিচার করেছেন। তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের নেত্রী পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন আগে বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যায় না। শেখের বেটি পালায় না।’ তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেশে রেখে পরিবারের লোকজন নিয়ে নিরাপদে পালিয়ে গেছেন।”

ডা. শাহাদাত বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে মার্ডার হয়েছে। সবকিছুইতে তারা দুর্নীতি করেছে। তাদের সরকার আমলে মানুষ টুপি পরে চলতে পারেননি। নামাজ পড়তে যেতে পারেনি। নিরীহ লোকজনকে জঙ্গী বানিয়ে গ্রেফতার করে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের আমলে চসিক কাউন্সিলরা নানা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। ভুয়া প্রকল্পের নামে লুটপাট চালিয়েছে। যে কারণে খাল-নালা ভরাট হয়ে আছে। মানুষ চলতে ফিরতে কষ্ট পাচ্ছেন। তারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। দুর্নীতি চালিয়েছে। তারা ক্ষমতায় এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। থানা পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করে বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। যার কারণে এ স্বৈরশাসকের করুণ পতন হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী কিশোরগ্যাং গঠন করে ত্রাসের রাজত্ব করেছে।’

বিএনপির নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিগত ১৬ বছর নির্যাতন-নিপিড়নের শিকার হয়েছেন। তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বিজয়ী হয়েছেন। এ বিজয় ধরতে রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর আমি বেশি জোর দিচ্ছি। চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি এবং হেলদি সিটি করতে চাই আমি। গত সরকারের আমলে প্রতিটি কাউন্সিলর প্রতিটি ওয়ার্ডে একেক ওয়ার্ড থেকে ৬০ থেকে ৯০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী রেখেছে, তারা ঠিকমতো জনগণের কাজ করছে কিনা, সেটা সরাসরি তাদের কাছ থেকে জানার জন্য আমি হাজিরা নিচ্ছি।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য গাজি মো: সিরাজ উল্লাহ, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী আশু, নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল বাবুল, আবদুল্লাহ সগীর, মো: আলমগীর, এস এম সেলিম, নুরুল আলম কালু, হাজি ইউনুস, হাজি ইলিয়াস, আমিন, মামুনুর রশিদ, মো: নুরুল আলম, নাছির উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউল হক মিন্টু, মো: শফিকুল ইসলাম, মো: নিজাম উদ্দিন, মো: জব্বার, ইসমাইল হোসেন লেদু, মো: মুছা, নুর হোছেন নুরু, জসিম উদ্দিন, ইয়াকুব খান, শামিম,আনদুল বারেক, আহমদ, সালাহউদ্দিন, মো: ওমর ফারুক, মো: জাকির হোসেন, সাদ্দমুল হক, মো: মানিক, বেলাল,সুমন, এম লিমন, জনি, নাঈস, আইয়ুব খান, আসিফ খান শাফিন, ইউনুস, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শামিমা নাছরিন, রেনুকা বেগম, সকিনা, মো: আলমগীর, সোহাগ, আনিস, হৃদয় খান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement