১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠকসহ ৩ নেতাকে মারধর

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে মারধর করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

আহতরা হলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো: আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদর উপজেলার সংগঠক হাসান নাসিমুল ওরফে রাসেল।

পুলিশ, আহত নাগরিক কমিটির নেতারা ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি লিশিয়ারা গ্রামের রাবেয়া খাতুন গত তিন থেকে চার মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে স্বামী মো: হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। রাবেয়া খাতুন সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো: আতাউল্লাহর খালা হন। আদালত উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য মফিজুর রহমানসহ দুই পক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। রোববার বিকেল ৫টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে পৌঁছতে শুরু করেন। তবে রাবেয়া খাতুনের পক্ষের লোকজন কিছুটা বিলম্বে পৌঁছে বলে অন্যদিন সালিশে বসবে বলে আইনজীবীরা জানান। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে মফিজুর রহমানের কক্ষে পৌঁছেন আতাউল্লাহ, জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুল। সেখানে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসেন আতাউল্লাহ। বিলম্বে পৌঁছাসহ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সাথে আতাউল্লাহসহ বাকিদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা আতাউল্লাহসহ জাতীয় নাগরিক কমিটির জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুলকে মারধর করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই আইনজীবীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো: আতাউল্লাহ বলেন, নাসিরনগর থেকে আমাদের এক সহযোদ্ধাকে আইসিটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। তার জামিনের জন্য আমরা আদালতে যাই। পরে কসবার একজন আত্মীয় পরিচয় করিয়ে দিতে আমাকে ডেকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে নিয়ে যান। আমাদের পরিচয় শুনে তারা মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাতি নিভিয়ে ও দরজা বন্ধ করে আমাদেরকে মারধর করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, যৌতুকসংক্রান্ত পারিবারিক বিষয়টি মিমাংসার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে দুই পক্ষের আইনজীবীরা বসেন। খালার কথায় সেখানে যান আতাউল্লাহ। এটি নেহায়েত একটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মামলা। পরিস্কার করে বলছি, এখানে দলাদলির বা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।


আরো সংবাদ



premium cement