বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে জাহাজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৭
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ আগামীকাল থেকে চলাচল শুরু হবে। প্রতিদিন যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে জেলা শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রতিদিন জাহাজ ছাড়া হবে।
মঙ্গলবার রাতে সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একইসাথে কাজের সুবিধার্থে কমিটিতে নতুন করে পাঁচজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন সদস্যরা হলেন, দ্বীপে চলাচলকারী জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি এবং কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি।
কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করেছি। একইসাথে কাজের সুবিধার্থে কমিটিতে নতুন করে পাঁচজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার শহর থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড লিমিটেডের কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাল থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করা হবে।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সাথে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
ছয় সদস্যের কমিটিতে ছিলেন টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অথবা ট্যুরিজম বোর্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কক্সবাজার প্রতিনিধি, কোস্টগার্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশ-কক্সবাজারের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদফতর-কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।
কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ অ্যান্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে।
পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে (পয়েন্টে) ও সেন্টমার্টিনের প্রবেশের স্থানে (অ্যান্ট্রি পয়েন্ট) পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পরিবেশ অধিদফতরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য বাড়াতে পারবে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা