খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১০
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খাল দখল করে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ওরফে এরশাদ (৪০) নামের এক যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টায় উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রাম ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ছয় থেকে সাত মাস আগে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুছাপুর ক্লোজারের পশ্চিমের দা খালটি ইজারা দেয় নিহত এরশাদের ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদীন আলমগীর কাছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খালটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শুরু হয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ। গত বুধবার বিকেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ১০ থেকে ১৫ জন দায়ের খালে মাছ ধরার জন্য জয়নালের জালটি কেটে তাদের জাল বসিয়ে দেয়।
নিহতের ভগ্নিপতি জয়নাল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের পরিবারের আরো চারজন সদস্য আমাদের জাল কেটে খাল দখল করে মাছ ধরার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে চরফকিরা ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম ঘাটে যাই। সেখানে স্থানীয় নেজাম (৪২) তার ছেলে সুজন (২৫) ও তারেক (২৬) এবং তাদের আত্মীয় তারেক (২৬) বাবলু (২৭) রুমনের (২৫) সাথে আমাদের বাগবিতণ্ডা বেঁধে যায়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে নিজাম ডাকাত ও তার লোকজন ইউনুছ আলী এরশাদকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। এছাড়া আরো চারজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় এরশাদকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে চট্রগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’