২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট’

মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান - ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট মন্তব্য করে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন বলেছেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের অনেক অঞ্চলে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সুবিধাবঞ্চিত এসব এলাকাগুলোতে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এ ট্রাস্ট।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের উদ্যোগে বিভিন্ন খাতে ৩৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইনের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, এস জেড এইচ এম বৃত্তি তহবিলের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন।

এর আগে অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাইজভাণ্ডারী অ্যাকাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘আজানের মধ্যে মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করা হয়। শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট মানব কল্যাণমূলক কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পরিচালনায় সহায়তা, পিছিয়ে পড়া ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষক সম্মানী প্রদান, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও প্রবীণ আলেমসহ মোট ছয়জনকে চিকিৎসা সহায়তা, দু’জনকে ব্যাটারিচালিতরিকশা ও একজনকে গবাদি পশু ক্রয়ে সহায়তা, তিনজনকে গৃহ নির্মাণে সহায়তা, দু’জনকে বিদেশ যাত্রায় সহায়তা ও পাঁচজনকে মেয়ের বিবাহে সহায়তাসহ মোট ২০ জন ব্যক্তি ও ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩৯ লাখ সাত হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement