কক্সবাজারে দেশের বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন, লাখো মানুষের সমাগম
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৩
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে লাখো মানুষের সমাগমের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। যেখানে বিসর্জন দেয়া হয়েছে শতাধিক প্রতিমা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে সমুদ্রসৈকতে লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে সমুদ্রসৈকতে সব প্রতিমা একযোগে বিসর্জন দেয়া হয়।
এর আগে দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা এনে সৈকতে সমবেত করা হয়েছে।
এ সময় রঙ ছিটানো, আতশবাজি ফোটানো আর ঢাকঢোল বাজিয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা। এ উপলক্ষে সৈকতে সমাগম হয় ভক্তদের। বিভিন্ন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন আয়োজন পর্যবেক্ষণে রাখে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার নয়টি উপজেলা ছাড়াও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা এবং আলীকদম উপজেলা থেকেও প্রতিমা এনে সৈকতে বিসর্জন দেয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান বিজয়া সম্মেলন।
এ সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, র্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজারের পৌর প্রশাসকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) উদয় শংকর পাল বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান এটি। এবার জেলার নয়টি উপজেলায় ৩২১টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫১টি প্রতিমা ও ১৭০টি ঘটপূজা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা