মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে শত্রুতার জের ধরে আজ কবির আহম্মদ সওদাগর (৬৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কবির আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলম (৪২) ও জামশেদ আলম (৩৫), আবদুল বারেক (২৮), শরীফুল ইসলাম (৩০) ও অজ্ঞাত (৩০)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অজ্ঞাত যুবককে (৩০) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কবির আহম্মদ উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি গণকছড়া গ্রামের মরহুম দিল মোহাম্মদের ছেলে।

বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, বিএনপির প্রবীণ নেতা কবির আহম্মদের মার্কেটে একটি দোকানে কয়েক মাস আগে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু সালিশ বৈঠক করেন। এ ঘটনায় কবির আহম্মদ ও জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত থেকে আট জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কবির আহম্মদের দোকানে এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। হামলায় অংশ নেয়া গ্রুপটি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে জড়িত। এ সময় ঘটনাস্থলে কবির আহম্মদের মৃত্যু হয়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় কবির আহম্মদের দু’ছেলে দিদারুল আলম ও জামশেদ আলমসহ দোকানের কয়েক জন কর্মচারী।

এ বিষয়ে জানতে জিয়া উদ্দিন বাবুলর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক এরশাদ উল্ল্যাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবির আহম্মদ নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের একাধিক স্থানে কোপানোর জখম রয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরো পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অজ্ঞাত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, শত্রুতার জেরে কবির আহম্মদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কয়েক জন আহত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।