০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, হাটে মানুষের উপস্থিতি কম

খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, হাটে মানুষের উপস্থিতি কম - ছবি : নয়া দিগন্ত

শিক্ষক হত্যার জের ধরে উত্তপ্ত খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে লাশ নিয়ে মিছিল হবে এমন গুজব রটানোর কারণে আজ খাগড়াছড়ির প্রধান হাটের দিন হলেও বাজারে পাহাড়ি লোকজনসহ তাদের উৎপাদিত পন্য নিয় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে অন্য হাটবারের তুলনায় কমসংখ্যক লোক হাটে এসেছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা আতঙ্ক রয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত টহল রয়েছে।

পাহাড়িদের উপস্থিতি একেবারেই কম। পানখাইয়াপাড়া সড়কের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

খাগড়াছড়ি বাজারের ফল ব্যবসায়ী ও তরিতরকারি বিক্রি করতে আসা পাহাড়িরা জানান, সহিংসতার পর থেকেই মানুষের অতঙ্ক আর ভয়ের কথা। স্বনির্ভর, কৃষি গবেষণা এলাকায় পাহাড়ী উৎপাদনকারীদের খাগড়াছড়ি বাজারে আসতে বাধা দেয়া হয় এবং সেখানেই অস্বায়ী হাট বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাগড়াছড়ি সদরের মূল হাটে মানুষজন কম।

খাগড়াছড়ি থেকে সকল সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। গুজবের কারণেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।

এদিকে নিহত শিক্ষকের লাশ গত রাত ৩টায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় খাগড়াছড়ি জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান, খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের পর্যাপ্ত টহল রয়েছে।

খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে পাহাড়ে সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জেলা সদরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়ক, মগের চা দোকান, নয়নপুর ও মহাজন পাড়া এলাকায় অন্তত ৩০টি দোকান ভাঙচুর ও লোটপাট করা হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের কাজে বাধাদান এবং ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement