যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে অবৈধ বাংলাদেশীরা গ্রেফতার ৪
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।
ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধরতে বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। ফলে দেশটিতে নথিপত্রহীন বাংলাদেশীরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
শপথ গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত অভিবাসনসংক্রান্ত শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ নতুন ৪৭টিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। নথিপত্রহীন সন্দেহভাজন অভিবাসীদের ব্যাপক মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবা বলেন, নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে আড্ডা দেয়া অবস্থায় নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে আইস। এ সময় তারা সাদা পোশাকে ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক বাংলাদেশী বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের ফুলটন এলাকায় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। অতর্কিতে সাদা পোশাকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে আমাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। একজন প্রতিবাদী হয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। তিনি এ কথা বলায় তাকে গ্রেফতার করে অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিছুটা দূরে একই এলাকায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি রাজু মহাজন বলেন, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। যারা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার পথ ধরে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকতেন, সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশ জারি করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের একটি বিধানও বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এতে এখন থেকে ৩০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে না। এরই মধ্যে এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ২৪টি রাজ্য ও শহরে মামলা হয়েছে। যেহেতু এটি মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনের বিরুদ্ধে যায়, সে কারণে হাইকোর্ট এটি বাতিল করে দিতে পারে।
খাদিজা মুনতাহা বাংলাদেশীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সহযোগিতা করতে হবে। অন্যের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এই কঠিন সময়ে অহেতুক পুলিশি অথবা অন্য কোনো বিবাদ অথবা ঝামেলায় জড়ানো যাবে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁয় যেখানে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যেত, এখন সেখানে লোকজনের ভিড় নেই বললেই চলে। এরই মধ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা