জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের লক্ষ্যই টেকসই রাজনীতি
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বা টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের কর্মকাণ্ডের ওপর তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে কল্যাণ বৃদ্ধিতে গ্রুপের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে। আর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা দেশে একটি টেকসই রাজনীতি চাই। সর্বক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের লক্ষ্যই ছিল দেশে টেকসই রাজনীতি।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গত রোববার রাতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ আয়োজিত প্রতিবেদনটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শফিকুল আলম এমন মন্তব্য করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রেস সচিব বলেন, ১৯৮০-৯০ এর দশকের প্রাণ আর এখনকার প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করা যায় না। এ প্রতিষ্ঠানের প্রচুর সাসটেইনেবিলিটি। তাদের যে বড় জনশক্তি ও বিনিয়োগ সক্ষমতা আছে, সেটা কাজে লাগিয়ে দেশের ব্যবসা আরো টেকসই করা সম্ভব। তিনি বলেন, অনেকে রাতারাতি প্লাস্টিক বন্ধ করতে চায়। কিন্তু তাতে অনেকের ক্ষতি হবে।
সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে জানান, ‘সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের ওপর রচিত প্রতিবেদনটিতে আটটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর নির্মিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। আটটি মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে রয়েছে, সাসটেইনেবল পণ্য, সাসটেইনেবল প্যাকেজিং, কৃষি, পানি ও এনার্জি। এই স্তম্ভগুলো ব্যবসায়িক অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাণ-আরএফএলের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার প্রতিফলন।
সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা, কৃষি-পণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা, সব কারখানায় পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস এবং কারখানায় ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ২৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রথম প্রতিবেদনটি সাসটেইনেবিলিটির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই প্রতিবেদনটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই যাত্রায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্তকে নির্দেশ করে। পুরো প্রতিবেদন জুড়ে ‘সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যেখানে ব্যাপকভাবে জীবিকা বৃদ্ধির জন্য এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিশ্বে অবদান রাখার জন্য আমরা যে পথগুলো নির্ধারণ করেছি সেগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সাসটেইনেবিলিটির আখ্যানটি আমাদের পুরো কর্মকাণ্ডের সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত, যেটি পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য আমাদের গৃহীত কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা