অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেয়া বিএসইসির চিঠিতে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৭
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগকে (এফআইডি) দেয়া পুুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চিঠি ও তাতে ব্যবহৃত ভাষায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। এতে বিবৃতিতে বিনিয়োগকারীদের নেতারা বলেন, ওই চিঠিতে যেসব বিষয়বস্তু উল্লেখ করে তাদের সংগঠনকে দোষারোপ করা হয়েছে, তাতে আমরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির দেয়া চিঠির ভাষা প্রয়োগ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। কারসাজিকারক ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমকে আমরা জোর সমর্থন জানাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, সংগঠনের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ আতিক ইখতিয়ার। বিবৃতিতে তারা বলেন, বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের আস্থায় আনা ও প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি থাকা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অনাস্থা কাজ করায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন বা সংস্কারের স্বার্থে করণীয় প্রসঙ্গে ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীরা এর সুফল পাবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অথচ আমাদের দাবিগুলোর গভীরতা অনুধাবন না করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়াস লক্ষণীয়।
তারা বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিএসইসির চিঠিতে উল্লিখিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য হলো, গত সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ১২ দফার কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়া হয়নি। সুতরাং এর দায়ভার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ বহন করে না। কমিশন বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পেছনে থাকা ব্যক্তিরা স্পষ্টভাবে পুঁজিবাজারের অনিয়মের সাথে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলের আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর, কারসাজিকারক, অনিয়মে জড়িত ও শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ। কোনো প্রকার রক্ত চক্ষুকে পরোয়া এবং কারো সাথে আপস করেনি, যার স্বাক্ষী সর্বস্তরের বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মহল। এর জন্য ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা