১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘ঘর হারমু ক্যামনে খাওন জোগাইতেই কষ্ট অয়’

‘ঘর হারমু ক্যামনে খাওন জোগাইতেই কষ্ট অয়’ - নয়া দিগন্ত

‘এহন বৃষ্টি আইলে পাশের বাড়ি থাকমু, হেদিনগো বৈন্যায় মোর ঘরের চাল উড়াইয়া লইয়্যাগ্যাছে, ঘর হারারমতো কোন পয়সা-পাতি নাই, ঘর হারমু ক্যামনে খাওন জোগাইতেই কষ্ট অয়।’

এমন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ গৈয়াতলা নিবাসী বিধবা মাজেদা বেগম (৭৫)। মাজেদা বেগমের বর্তমান বসবাসের ঘরের চাল নেই, বারান্দার উপরে পলিথিন দিয়ে কোনোমতে থাকেন। তার ঘর ও শারীরিক অবস্থা দেখলে মনে হয়- এ যেন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, কল্পকাহিনীর মতো।

সম্প্রতি ২৭ মে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কুয়াকাটা-কলাপাড়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালাসহ মানব সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাজেদা বেগমের মতো অনেক অসহায় পরিবার রয়েছেন যারা দিন শেষে মাথা গোজার ঠাঁই জরাজীর্ণ কুটিরে। আশ্রয় নেয়ার খুপড়ি, তাও লণ্ডভণ্ড করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বসবাসের ওই ঘর কোনোরকম ঠিক করাবেন সেটাও পারছেন না। বিধবা মাজেদা বেগমের চার সদস্যের সংসারে একদিকে পেটে ভাতের জোগান দিতে কষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ সেজন্য ওষুধের টাকা জোগাড় করতে হচ্ছে।

মুজিব শতবর্ষের একটি ঘর পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিধবা মাজেদা বেগম।

নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বাবুল মিয়া বলেন, ‘এই সকল পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন একান্ত প্রয়োজন, প্রকৃতপক্ষে পরিষদে টিনের ব্যবস্থা নাই, ওই পরিবারের যে কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে কিছু টিন পেতে পারেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় যে বরাদ্ধ আসে তা চেয়ারম্যানদেরকে দেয়া হয়, তাই ওই পরিবারকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement