‘মোর ঘর শ্যাষ, ফেইদ্দ্যার চাউল কয়ডাও ভিইজ্যা গ্যাছে’
- নাসির উদ্দিন, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
- ২৯ মে ২০২৪, ১৫:২৭, আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ১৫:৩০
গাছ পড়ে ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, ফিতরা হিসেবে পাওয়া চালগুলোও ভিজে শেষ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমেলের প্রভাবে সব হারিয়ে এখন কোথায় থাকবেন কিংবা কী খাবেন বুঝতে পারছেন না পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রামের বিধবা শাহানুর বেগম। আক্ষেপের সাথে আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, ‘ঘরের ওপর গাছ পড়ে মোর ঘর শ্যাষ ফেইদ্দ্যার (ফিতরা) চাউল কয়ডাও ভিইজ্যা গ্যাছে, মুই এহন কই থাকমু, কী খামু।’
শাহানুর বেগমের স্বামীর বাড়ি চণ্ডিপুর গ্রামে। স্বামী মারা গেছেন ১০ বছর আগে। ছয় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, সবাই শ্বশুরবাড়ি থাকে। শাহানুর বেগম চর বলেশ্বর গ্রামে বাবার জমিতে একটা ছাপড়া ঘরে বাস করেন। বিধবা ভাতা আর রাস্তায় কাজ করে সংসার চালান তিনি। রমজান মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফিতরার চাল সংগ্রহ করে জমা করে রেখেছিলেন ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালে তার ছাপড়া ঘরের ওপর সরকারি রাস্তার একটা বড় রেন্টি গাছ পড়ে ঘর চুরমার হয়ে গেছে। তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকায় তার কিছু হয়নি। কিন্তু এখন তিনি কোথায় থাকবেন আর কী খাবেন, ভেজা চাল রোদে শুকাতে শুকাতে আক্ষেপের সাথে বলছিলেন।
শাহানুর বেগম জানান, তিনি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সাহায্য পাননি। উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিধবা শাহানুর বেগমের একমাত্র আশ্রয়টুকুও শেষ হয়ে গেছে। তার জন্য সরকারিভাবে একটা ঘরের ব্যবস্থা করা দরকার।’
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজী বলেন, ‘ঝড়ের আগের রাত থেকে শুরু করে এলাকার দুর্গতমানুষদের পাশে আমি ছিলাম। সাধ্যমত তাদের সাহায্য করেছি এবং করে যাচ্ছি। এ উপজেলায় ৯৫ শতাংশ লোকের ক্ষতি হয়েছে। যা ১০০ কোটি টাকার বেশি।’
তিনি আরো বলেন, দুর্গত মানুষ যেন সব ধরনের সহায়তা পায় তিনি তাতে সব ধরনের চেষ্টা করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা