ঘুর্ণিঝড়ে আমতলীতে ৩ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৭ মে ২০২৪, ১৯:১৬
ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই লক্ষাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চার স্থানে বাঁধ ভেঙে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড় রেমাল চালায় তাণ্ডব। রোববার সন্ধ্যায় উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হনে এটি, রাত-ভর চালে এর তাণ্ডব।
উপজেলার পশুরবুনিয়া, ঘোপখালী, পশ্চিম সোনাখালী, সোনাউডা বাঁধ এবং আঙ্গুলকাটা স্লুইজ গেট ভেঙে ও ইসলামপুর গ্রামের বাঁধ গড়িয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করে। এতে আড়পাঙ্গাশিয়া, আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণে কুকুয়া ও চাওড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বারেক চৌকিদারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিছিন্ন ছিল।
সিপিপির টিম লিডার রিপন মুন্সি জানান, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া ১০ হাজার মানুষকে উপজেলা প্রশাসন খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লতিফ মিয়া বলেন, ‘রেমালের আঘাতে আমার ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আমার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় শাহজাহান তালুকদার বলেন, ‘বাতাসের তাণ্ডবে আমার ঘরটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
ইসহাক মুসুল্লী বলেন, ‘পশুরবুনিয়া ও ঘোপখালী বাঁধ ভেঙে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পশুরবুনিয়া এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।’
সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘পশ্চিম সোনাখালী বাঁধ ভেঙে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।’
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘রেমালে উপজেলার তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অগণিত গাছপালা উপড়ে পড়েছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা